স্থলভাগে বেশী মাত্রার ভূমিকম্প হলে, স্থলভাগের স্থাপনা তা সহ্য করতে না পেরে ভেঙ্গে পড়ে ফলে জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়। আবার জলভাগে বেশী মাত্রার ভূমিকম্প জলোচ্ছাসের সৃষ্টি করে এতে করেও জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে।
ভূমিকম্প একটি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে ঘটাতে পারে ব্যাপক প্রাণহানী। ভূমিকম্প মোকাবেলায় জনসচেতনতার প্রয়োজন। জনসচেতনতার মাধ্যমে ভূমিকম্পে জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।
ভুমিকম্প মোকাবেলায় করনীয়:
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত না হয়ে সাহসীকতার সাথে তা মোকাবেলা করুন।ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পযর্ন্ত হয় তাই সর্তকতার সাথে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নিন।
১.ভূমিকম্পের সময় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিন।
২.ঘরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ ভূমিকম্পে আক্রান্ত হলে,যদি বের হতে না পারেন তাহলে,টেবিল অথবা খাটের নিচে আশ্রয় নিন।
৩.ভূমিকম্পের সময় ধূলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাথে রুমাল রাখতে পারেন, এ সময় কোথাও আটকা পড়লে আগুন জ্বালান অথবা ডাকাডাকি করতে পারেন।
৪.দ্রুত তৈল,গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দিন।
৫.তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।এমবি
৬.যানবাহন নিদিষ্ট স্থানে এবং রাস্তার বামপাশে রাখুন।
৭.রাস্তা দিয়ে চলার সময় উপরের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
৮.গুজবে কান না দিয়ে আক্রান্ত এলাকা দ্রুত ত্যাগ করুন।
৯.দালান কোঠা নির্মান করার সময় ভূমিকম্পের নীতিমালা মেনে চলুন।
১০.রাষ্টের প্রতি বিনয়ী আহ্বান ভূমিকম্প প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনতা সহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করুন।
১১.ভূমিকম্প পরবর্তী দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য রাষ্টের সবর্দা প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।
আসুন ভূমিকম্প সঠিকভাবে মোকাবেলায় নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি,জান মালের ক্ষয় ক্ষতি রোধ করি।