‘সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য
ম্যালেরিয়া শেষ করুন’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বিশ্ব
ম্যালেরিয়া দিবস ২০১৬ উদযাপিত হচ্ছে। আমাদের দেশে এ উপলক্ষে জাতীয় ম্যালেরিয়া
নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী, ব্রাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো ঢাকাসহ ম্যালেরিয়া প্রবণ
জেলা ও উপজেলাগুলোতে বিশেষ বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
ম্যালেরিয়া মানুষ ও প্রাণিতে অ্যানোফিলিস মশকীর দ্বারা সৃষ্ট এক ধরনের পরজীবী ঘটিত রোগ। ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত জ্বর, কাপুনিসহ ঠাণ্ডা এবং সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসা বিহীন রোগী তীব্র জটিলতার কারণে মারা যেতে পারে। সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মতে, ২০১৫ সালে বিশ্বে ২১৪ মিলিয়ন ম্যালেরিয়ার রোগী পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার লোক মারা যায়! এদের অধিকাংশই ছিল আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের শিশু। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ১৫০০ রোগী শনাক্ত করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন ও মিয়ানমার সীমান্তে মানুষের অনুপ্রবেশহেতু আমাদের দেশেও অনেক লোক ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ঝুঁকির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার! তবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় মৃত্যুহার কমেছে।
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর মনিটরিং এবং মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. নজরুল ইসলামের মতে, ২০১৪ সালে দেশে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫ এবং তা কমে ২০১৫ তে হয় ৯ জন। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা শুন্যের কোঠায় আনা সম্ভব। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আশাবাদ করেন ২০৩০ সালে ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণ নির্মূল হবে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা থেকে আগত লোকদের ম্যালেরিয়ার জীবাণু পরীক্ষা করা এবং মশারি ব্যবহার করে মশার কামড় প্রতিহত করতে হবে।
মশার উপদ্রপ হ্রাসের জন্য আবদ্ধ পানিতে কীটনাশক বা কেরোসিন তেল ছিটানো, নারিকেলের মালা, ভাঙ্গা কৌটা, পরিত্যাক্ত টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।
চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। সাধারণত কুইনাইন অথবা আর্টিমেসিনিন গ্রুপের ঔষধ দিয়ে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা করা হয়।
তথ্যসূত্র: সিডিসি, বাসস, উইকিপিডিয়া।